[TechSa #6] IoT কী – না জানলেই নয় !

IoT এর সম্পূর্ণ রূপ Internet of Things। আর Internet এর সাথে সম্পৃক্ত সকল Device হল এই IoT এর অন্তর্ভুক্ত।

১৯৮৫ সালে IoT ধারনার প্রবর্তিত হয়।

IoT কীভাবে কাজ করে?
IoT এর মাধ্যমে মূলত Internet এর সাথে সংযুক্ত Device এর বিভিন্ন component বা chip থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেই ডিভাইসটি সম্পর্কে একটি ধারণা লাভ করা যায়। যার দ্বারা পরবর্তীতে ওই Device এর ব্যবহারকারী সম্পর্কেও ধারনা লাভ করা যায়।

IoT এর একটি বাস্তব উদাহরণ হতে পারেঃ
আসলে IoT এর বদৌলতে এটি সম্ভব হয়েছে। অনেক সময় আমরা ইন্টারনেটে কোনো কিছু ঘাটাঘাটি করলে ওই জিনিসটিই আমাদের সামনে আসে এটা স্বাভাবিক একটি বিষয়। কিন্তু যদি এমন হয় আপনি ইন্টারনেটে ঘাটলেনই না। শুধু চিন্তা করলেন আর ইন্টারনেটে ঢোকা মাত্র আপনার সামনে সেই জিনিসটি দেখাচ্ছে! এখন নিশ্চই অবাক হবেন!
IoT এর মাধ্যমে এটিও সম্ভব। আপনার হাতে পরিহিত smart watch যেটি আপনার ফোনের সাথে সংযোগ ঘটানো যায় কেও চাইলে এই device-টির মাধ্যমেও আপনার গতিবিধি জানার ক্ষমতা রাখে যা IoT এরই বদৌলতে সম্ভব।

IoT মূলত একটি বিশাল বড় প্রযুক্তির উন্নয়ন ক্ষেত্র। প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে IoT এর আয়তন এবং এর সাথে সংযুক্ত ডিভাইস সংখ্যার বিস্তার ঘটছে। ধারণা করা হয়ে থাকে আগামী ২০২০ সালের মধ্যে IoT এর অন্তর্ভুক্ত হবে প্রায় ২০ বিলিয়ন ডিভাইস।

IoT এর সুবিধাঃ
প্রযুক্তিকে ভাল খাতে কাজে লাগালে এর সুবিধা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। IoT যেহেতু Internet এর সাথে সংযুক্ত Device নিয়ে কাজ করে তাই এর দ্বারা আপনি দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে IoT এর আওতাভুক্ত যে কোনো Device কে আপনার control এ আনতে পারবেন। মনে করুন আপনার ঘরে এমন একটি গ্যাজেট আছে যেটা ময়লা পরিষ্কার করতে পারে। আপনি কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন এবং ফিরে আসার পূর্বে আপনি Internet এর সাহায্যে গ্যাজেটটির সাথে সংযোগ স্থাপন করে ময়লা পরিষ্কার করার কমান্ড তাকে দিয়ে রাখলেন এবং বাসায় ফিরে দেখলেন আপনার বাসা পরিষ্কার হয়ে আছে। এরকম হাজারো কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। দূরে বসে ঘরের প্রতিটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস কন্ট্রোলের এক্সেস আপনি IoT এর কল্যাণে পেতে পারেন।

IoT যখন ভয়ানক!
ইতিপূর্বেই বলেছি smart watch IoT এর অন্তর্ভুক্ত । এটি বর্তমানে প্রচলিত একটি ডিভাইস। এরকম অনেক প্রকার ডিভাইসই আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে চলেছি। Credit card/Debit card এর কথায় ধরুন। খুবই প্রচলিত একটি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস। হ্যাকার চাইলে দূরে বসেও আপনার ডিভাইসের এক্সেস পাওয়ার ক্ষমতা রাখে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে আপনার কী কী ক্ষতি হতে পারে সেটা হয়ত আপনিই খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারবেনা যদি না সেই ক্ষতির সম্মুখীন হন। তাই এ থেকে বোঝায় যাচ্ছে যে IoT এর সব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ দিকের মধ্যে মূল একটি হল এর সেচুরিত্য issue। কেননা IoT মূলত user data নিয়ে কাজ করে। তাই security নিশ্চিত না করতে পারলে হয়ত এই আসির্বাদই আপনার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পরিশেষেঃ
যেহেতু IoT তে device security নিশ্চিত করা একটি মৌলিক চাহিদা তাই পরামর্শ থাকবে যারা Internet ব্যবহারকারী আছেন তারা নিজের Device security সম্পর্কে সচেতন হোন। আর যারা IoT field এ কাজ করতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই আপনার ডেভেলপ করা Device / IoT এর সাথে সম্পৃক্ত বিষয়বস্তুর security নিশ্চিত করুন।

আজ এ পর্যন্তই। অন্য কোনো দিন আসব অন্য কোনো টপিক নিয়ে। সে পর্যন্ত সাথেই থাকুন।

3 comments
মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Previous Post

প্রোগ্রামার, ডিজাইনার নাকি ডেভেলপার কে করবে বাজিমাত!

Next Post

স্মার্টফোনের ডিসপ্লে নিয়ে যত কথা

Related Posts

[TechSa #4] এক নজরে জেনে নিন Search Engine সম্পর্কে।

ইন্টারনেট যগতে Search Engine হল এমন একটি ইঞ্জিন/যন্ত্র (নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ও বিভিন্ন এলগরিদম ব্যবহার করে তৈরি…
পড়ুন

স্মার্টফোনের ডিসপ্লে নিয়ে যত কথা

ব্যাক্তিগতভাবে আমার কাছে মনে হয় একটা স্মার্টফোনের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হচ্ছে এর ডিসপ্লে। কারন হিসেবে বলা যেতে পারে…
পড়ুন