DCL C483 – প্রথম দর্শনের অনুভূতি!

প্রতিবারের মত এবারও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের স্টুডেন্টদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করে ১ এপ্রিল ২০১৯। “একজন স্টুডেন্ট একটি ল্যাপটপ” প্রোগ্রামের আওতায় এবার DCL C483 মডেলের একটি ল্যাপটপ দেওয়া হয়। চলুন দেখে নেওয়া যাক ল্যাপটপটির একটি ছোট রিভিও।

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক!

স্পেক্সঃ

ল্যাপটপটিতে ইন্টেল ৮ জেনারেশনের প্রসেসর বিশিষ্ট core i3 ব্যবহার করা হয়েছে। প্রসেসরটির নরমাল ক্লক স্পীড ২.২০ গিগাহার্জ। ৪ মেগাবাইট ক্যাশ মেমোরি সহ রয়েছে ৪ জিবি DDR4 র‍্যাম।স্টোরেজ হিসেবে থাকছে ১ ট্যারাবাইটের একটি হার্ডডিক্স। ১৪ ইঞ্চির এই ল্যাপটপটির ডিসপ্লে হিসেবে রয়েছে গ্লোসি ডিসপ্লে। এছাড়া থাকছে ইন্টারনাল গ্রাফিক্সকার্ড হিসেবে Intel(R) UHD Graphics 620, ল্যান কার্ড, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, কার্ড রিডার ও ২ মেগাপিক্সেলের একটি ওয়েবক্যাম। ১.৮ কেজির এই ল্যাপটপটিতে থাকছে ৪ সেলের একটি ব্যাটারি যা দিয়ে অনায়াসে কমপক্ষে ৪ ঘন্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া সম্ভব। ব্যবহার করতে পারবেন যেকোনো অপারেটিং সিস্টেম।

উন্মোচনঃ

আকর্ষণীয় কালো বক্সে প্যাকিং করা ছিল ল্যাপটপটি। যার ওপরে লেখা dcl LaptopIntel inside এর আইকন। প্যাকেটটি খোলার পর বেরিয়ে আসে পলিতে মোড়ানো একটি কালো রঙের ল্যাপটপ। ল্যাপটপটির উপরে “DCL” লোগো এবং ডিজাইন বেস আকর্ষণীয়। প্লাস্টিক বিল্ড বডি হয়েও পুর্বের ডিজাইনগুলো থেকে মানের দিক থেকে ভাল মনে হল। তবে আরও একটু ভাল হতে পারত।

এছাড়া প্যাকের মধ্যে ছিল, ইউজার গাইড, চার্জিং-এর জন্য ক্যাবল ও এডাটর, মাদার বোর্ডের যন্ত্রাংশকে সঠিকভাবে সচল রাখার জন্য একটি সফটওয়্যার ডিক্স ও একটি SSD Card লাগানোর জন্য(প্রয়োজন মনে করলে) একটি স্ক্রু।

বিস্তারিতঃ

ল্যাপটপটি ওপেন করতে ও বন্ধ করতে স্বাভাবিক সময়ই লেগেছিল। ডিসপ্লে এর উপরে মাঝ বরাবর ওয়েবক্যামের অবস্থান। ওয়েবক্যামটি মোটামুটি লেভেলের ছবি/ভিডিও ক্যাপচার করতে সক্ষম। এর বাম পাশে রয়েছে একটি সেন্সর(LED Light) ও দুইপাশে দুটি মাইক্রোফোন।

আর যেহেতু ডিসপ্লে গ্লোসি তাই আলোর প্রতিফল পাওয়াটাই স্বাভাবিক। এছাড়া কালা একুরেশন-কন্ট্রাস্ট স্বাভাবিক ছিল।

ডিসপ্লে এর নিচে রয়েছে ছোট করে আরও একটি “DCL” লোগো।

ল্যাপটপটিতে ১৩০° পর্যন্ত বাঁকানোর সুবিধা রয়েছে।

ল্যাপটপটির পাওয়ার বাটন কিবোর্ডের বাহিরে বডি এর ডান পাশে উপরে কোনায় অবস্থিত। বাটনের সাথে রয়েছে একটি নীল রঙের LED যা ল্যাপটপর বন্ধ থাকা ও সচল থাকার অবস্থা নির্ণয়ে কাজ করে।

কিবোর্ড-টিতে ইংরেজি “আমেরিকান” ও বাংলা “জাতীয়” কিবোর্ড প্যাটার্ন অনুসরণ করে অক্ষরগুলো ছাঁপানো আছে। রয়েছে এলাফাবেটক কি এর মধ্যে নিউমেরিক কি এর মিক্স। যার ফলে ফাংশনকি এনাবল করে অনায়াসেই টাইপ করা যাবে নিউমেরিক অক্ষরগুলোকে। এছাড়া কিবোর্ড-এর কার্যগতি বেস ভালই লেগেছে। কিবোর্ডটার কোয়ালিটি ভালই বলা চলে। তবে যারা উচ্চমানের কিবোর্ড ব্যবহার করে অভ্যস্ত তাদের কাছে অত একটা ভাল নাও লাগতে পারে।

টাচপ্যাডটি ভালই সংবেদনশীল। রয়েছে স্ক্রলিং-এর সুবিধা। বামপাশের ও ডানপাশের বাটন আলাদা ভাবে দেওয়া হয়েছে টাচপ্যাডের সাথে।

বডি এর ডানপাশে রয়েছে ডানদিক থেকে যথাক্রমে একটি ইথারনেট পোর্ট, একটি ভিজিএ পোর্ট, একটি এসডি কার্ড স্লট এবং একটি সিএটিভি পোর্ট (কোনো কাজের মনে হল না।) একটি ইউএসবি ২.০০ পোর্ট।

বডি এর বাম পাশে রয়েছে বামদিক থেকে যথাক্রমে ল্যাপটপের লক-পোর্ট, চার্জিং পোর্ট, একটি এইচডিএমআই পোর্ট, কুলিং ফ্যানের ছিদ্র,একটি ইউএসবি ৩.০০ পোর্ট, একটি ইউএসবি টাইপ সি পোর্ট এবং হেডফোনের জন্য পোর্ট দুইটি (একটি মাইক্রোফোনের জন্য ও অপরটি স্পিকারের জন্য)

বডির সামনের দিকে রয়েছে ৪ টি LED লাইট যা চার্জিং, এরোপ্লেন মোড, হার্ডডিস্কের সহ বিশেষ কোনো একটি হার্ডওয়্যারের ফাংশন-এর ইন্ডিকেটর হিসেবে কাজ করে।

বডির পিছনে রয়েছে কিবোর্ড স্ক্রু সহ প্রধান বডিটি খোলার জন্য বেস কটি স্ক্রু। বামে ও ডানে দুপাশে রয়েছে ২ টি স্পিকার। স্পিকার নিচে হওয়াই সাওন্ড যতটা পাওয়ার কথা তার থেকে কম পাওয়া যাচ্ছিল। আর সাওন্ড কোয়ালিটি অত একটা ভাল লাগেনি।

বাতাস সর্বরাহের জন্য রয়েছে বেস কিছু ছিদ্র। কুলার ফ্যান মূলত এই ছিদ্র থেকে/কিবোর্ডের দিকে থাকা ছিদ্র থেকে বাতাস নিতে প্রসেসরের কুলিং সিস্টেমকে সচল রাখে।

ল্যাপটপটির ডিসি ভোল্টেজ হিসেবে চার্জারের ইনপুট ১৯ ভোল্ট ও ২.১ অ্যাম্পিয়ার।

ল্যাপটপটিতে Windows 10 এর ৬৪ বিট ইন্সটল করা ছিল।

১ ট্যারাবাইট হার্ড ডিস্কটি ৪ টি পার্টিশন করা। তবে চাইলে পরবর্তীতে বাড়িয়ে নেওয়া যাবে।

এছাড়া “Device Manager” সেকশনের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করা হল।

বিশ্লেষণঃ

  • ডিসপ্লের (৭/১০)
  • কিবোর্ড (৭/১০)
  • বডি বিল্ড (৭/১০)
  • স্পিকার (৪/১০)
  • ওয়েবক্যাম (৬/১০)
  • বুট টাইম (৮/১০)

ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স-এর ওয়েবসাইটে দেওয়া দামের তুলনায় আরও বেটার কোয়ালিটি এই ল্যাপটপটির ইউজাররা বহন। আশা করি সময়ের সাথে সাথে DCL ল্যাপটপে উন্নতির ছোঁয়া লাগবে।

তবে আমার ব্যক্তিগত মতামত “কিবোর্ড, স্পিকার,ওয়াবক্যাম” – এই তিনটি দিকে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স এর উচিন একটু নজর দেওয়া। আর ডিজাইন বরাবরই ভাল করে। তবে আরেকটু উন্নত মানের উপাদান বিডি বিল্ডিং-এর জন্য ব্যবহার করা গেলে ল্যাপটপের লুকে প্রিমিয়াম একটা ভাব আসবে।

বিদ্রঃ খুব অল্প সময় পেয়েছিলাম ল্যাপটপটি টেস্ট করার জন্য। তাই সেভাবে পারফরমেন্স, ব্যাটারি ব্যাকআপ ওবেস কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিক্ষণ করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি।

4 comments
  1. Your Post is always My favourite And thanx for always been up-to-date
    But i would love to add something
    Core i 3 8Th gen introduced us that they are realizing 4 cores in their new updates, But in here coire i 3 8130u that has been used in DCL has only 2 cores, But You can overclock it upto 3.2 and I would not recommend 3.40 as per instructed in their official site, Because more than 3.20 may harm your laptop from overheat problem even if you use cooler.
    Have some questions
    What are the camera specs?
    Ram,processor, Hard disk manufacturer
    Looking Forward to know better about new tech product and updates

    1. Thanks for your comment. I know the processor can be over clocked. Thank you again for mentioning about the point.

      I already mentioned that it has 2 MP webcam. Don’t know about the correct manufacturing informations. Need to disassemble the product. But that’s not possible. Because no one gives me his laptop for open heart surgery. But you know I’m good at it. 😎

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Previous Post

আসছে গরীবের পিক্সেল

Next Post

কার্নেল ও এর কার্যক্রম – জানুন বিস্তারিত।

Related Posts

আপনার স্মার্টফোনটি বৈধ তো!

১৫ ডিজিটের IMEI নাম্বার সকল ফোনেই ইউনিক। এই নাম্বার দিয়েই আপনার ফোন আইডেন্টিফাই করে টেলিকম অপারেটররা। এতোদিন গ্রাহকদের…
পড়ুন