Band 2 VS Huawei Color Band A2

অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন যে কোনটা কিনবেন? এই পোস্ট তাদের জন্যেই…

 

শিরোনাম দেখে বুঝতেই পারছেন আজ খেলা হবে….
সবার চাহিদা, পছন্দ এক না। তাই আজ বিস্তারিত কথা হবে।

মি ব্যান্ড ২ (আমার কাছে HRX এডিশন টা আছে) আর কালার ব্যান্ড এ২ এই দুইটা ব্যবহার করে যা যা পেলাম, তার ভিত্তিতে এই রিভিউ।

 

‌Mi Band2:

সাইজে ছোট, হালকা। যারা ভারী ঘড়ী

পরতে পারেন না, তারা দেখতে পারেন।হাতে থাকলে কোন সমস্যাই হবে না। এটা মূলত এটা ফিটনেস ট্র‍্যাকার। তাই এটা পরে জানতে পারবেন হার্টরেট, কত কদম হাটলেন, কত ক্যালরি বার্ন করলেন আর এপের

মাধ্যমে দেখতে পারবেন আপনার ঘুম কেমন হয়েছে ইত্যাদি। এটা পানি ও ধুলাবালি প্রতিরোধী, তাই এটা পরে নিশ্চিন্তে গোসল ও করতে পারবেন। আধাঘণ্টা বসে থাকলে আপনাকে জানান দেবে যে আপনার একটু হলেও হাটা উচিৎ। এটাতে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে ফিটনেস ট্র‍্যাকিং কে।

‌এতে আরেকটি সুবিধা আছে, বিভিন্ন নোটিফি

কেশন পাবেন ভাইব্রেশনের মাধ্যমে।

‌এলার্ম সেট করতে পারবেন যা ভাইব্রেশনের মাধ্যমে আপনার ঘুম ভাঙাবে।

‌এর ব্যাটারি লাইফ ও ভালো। আমি সর্বনিম্ন ২০ দিন, সর্বোচ্চ ৩২ দিন পেয়েছি।

‌নেগেটিভ সাইডঃ

‌১) এর ডিসপ্লে অনেক ছোট, তাই দেখতে অসুবিধা হয়। আর আমার মত চশমু ওয়ালা হইলে তো…..

‌২) শুধু কল আসলে নাম বা নাম্বার দেখায়। তাছাড়া অন্যান্য নোটিফিকেশন এর ক্ষেত্রে শুধু আইকন দেখায়। লেখা দেখায় না। ফলে মোবইল বের করে দেখা ছাড়া উপায় থাকে না।

‌৩) কল আসার পর ব্যান্ডের ভাইব্রেশন অফ করা গেলেও কল কাটা বা মিউট করা যায় না। (শুনলাম নতুন আপডেটের পর নাকি করা যাচ্ছে, তবে সি

ওর না)

‌৪) চার্জ দিতে হলে স্ট্র‍্যাপ থেকে খুলে চার্জ দিতে হয়। খুব ঝামেলা।

‌৫) একবার যদি নোটিফিকেশন মিস করেন, মোবাইল বের করা ছাড়া দেখার উপায় নাই।

‌এখন কথা হচ্ছে, এটা কি আপনার উপযুক্ত?
‌যদি আপনি স্বাস্থ সচেতন হন, নোটিফিকেশন পাওয়া না পাওয়া নিয়া মাথাব্যথা নাই, তাহলে নিশ্চিন্তে নিতে পারেন। আর যদি আপনার কাছে নোটিফিকেশন পাওয়াটাই প্রধান উদ্দেশ্য হয়, তাহলে হুয়ায়েই কালার ব্যান্ড এ২ টা দেখেন।

‌H.A2:…..

‌বলতে গেলে মি ব্যান্ড ২ এর মতই সব। সাইজে ছোটই বলা যায় তবে মি ব্যান্ড ২ এর থেকে বড়, কারন এতে আছে বড় ডিসপ্লে, তবুও হালকাই বলা যায়। তাই হাতে থাকলে কোন সমস্যাই হবে না আশা করি। এটা মূলত এটা ফিটনেস ট্র‍্যাকার হলেও নোটিফিকেশন কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এটা পরে জানতে পারবেন হার্টরেট, কত কদম হাটলেন, কত ক্যালরি বার্ন করলেন আর এপ ছাড়াই দেখতে পারবেন আপনার ঘুম কেমন হয়েছে ইত্যাদি। এটা পানি ও ধুলাবালি প্রতিরোধী, তাই এটা পরে নিশ্চিন্তে গোসল ও করতে পারবেন। আধাঘণ্টা বসে থাকলে আপনাকে জানান দেবে যে আপনার একটু হলেও হাটা উচিৎ।

এতে আরেকটি সুবিধা আছে, বিভিন্ন নোটিফিকেশন পাবেন ভাইব্রেশনের মাধ্যমে। সাথে দেখাও যায় কে মেসেজ দিয়েছে, কি লেখেছে সব, যা মি ব্যান্ড ২ তে পারছেন না।

এলার্ম সেট করতে পারবেন যা ভাইব্রেশনের মাধ্যমে আপনার ঘুম ভাঙাবে।

এর ব্যাটারি লাইফ টা কম। আমি সর্বনিম্ন ৮ দিন, সর্বোচ্চ ১৪ দিন পেয়েছি।

যা যা পজিটিভ সাইড মি ব্যান্ড ২ এর থেকে একে এগিয়ে রেখেছেঃ

১)  ডিসপ্লে সাইজ বড় হওয়ায় দেখতে সহজ, বিভিন্ন নোটিফিকেশন দেখাও যায় কে মেসেজ দিয়েছে, কি লেখেছে সব, যা মি ব্যান্ড ২ তে পারছেন না।

২) একবার যদি নোটিফিকেশন মিস করেন, মোবাইল বের করা না করেই লাস্ট ৫ টা নোটিফিকেশন দেখতে পারবেন। যা মি ব্যান্ড ২ তে ইম্পসিবল। এমনকি মোবাইলের সাথে ডিসকানেক্ট হয়ে গেলেও নোটিফিকেশন গুলা দেখা যায়, যা ডিসকানেক্ট হবার আগে এসেছিল।

৩) এপস ওপেন না করেই দেখতে পারবেন আপনার ঘুম কতক্ষণ ছিল। যা মি ব্যান্ড ২ তে ইম্পসিবল।

৪) বেল্ট থেকে না খুলেই চার্জ দেওয়া যায়। যা মি ব্যান্ড ২ এর থেকে সহজ।

৫) অনেক সময় মোবাইল ফোন টা কোথায় রেখেছি মনে থাকে না। ফাইন্ড মোবাইল অপশন টা অস্থির। মোবাইল সাইলেন্ট মুডে থাকলেও সাউন্ড বাজাতে পারবেন কালার ব্যান্ড এ২ দিয়ে। এটা তো মি ব্যান্ড ২ তে নাইক্কা…..

😕😕😕

৬) কল আসার পর চাইলে ব্যান্ডের ভাইব্রেশন অফ করতে পারেন (mi band 2 এর মত)  অথবা কল টি কেটেও দিতে পারেন। যা  মি ব্যান্ড ২ তে নাই।

৭) মি ব্যান্ড ২ তে বারবার টাচ করে হাটা, ব্যাটারি লেভেল, টাইম, ইত্যাদি দেখা লাগে। আর এতে সব একসাথেই দেখা যায়।

এবার আসি নেগেটিভ সাইড নিয়াঃ

১) চার্জ কম থাকে মি ব্যান্ডে২ এর তুলনায়।

২) যাদের মেসেঞ্জারে বারবার মেসেজ আসতেই থাকে, তাদের ক্ষেত্রে একটা ঝামেলা আছে। যেহেতু আগের পাঁচটা নোটিফিকেশন দেখাবে, তাই সময় দেখার জন্য টাচ করলেও নোটিফিকেশন এর জালায় সময় টা দেখতে সময় লেগে যায়।

 

 

 

 

 

 

এখন ইচ্ছা আপনার। আর যদি কোন প্রশ্ন থাকে করতে পারেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Previous Post

WiFi এর সমস্যা ও সমাধান ও কিছু টিপস

Next Post
৪৮ মেগাপিক্সেলের শাওমি রেডমি

শাওমি এবার নিয়ে আসছে ৪৮ মেগা পিক্সেলের ফোন

Related Posts

Tapet – নিজের তৈরি ওয়ালপেপারে সাজান নিজের প্রিয় ফোনটিকে!

প্রায়শই বিভিন্ন ওয়ালপেপার দেখে আপনার ভিতরের অবস্থা হয় ঠিক এইরকম – ‘অস্থির ওয়ালপেপার তো’, আর তার বহিঃপ্রকাশ করতে…
পড়ুন