সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার সময় যে বিষয়গুলো মনে রাখা উচিৎ!

অনেকেই হয়তো টাকা স্বল্পতার কারণে নতুন ফোন না কিনে পুরাতন ফোন কিনে থাকেন।কিন্তু কেনার পর যখন কোনো সমস্যা বা দোষ পান তখন খুব আফসোস করেন,ইস্ কেনার সময় যদি এই দোষটা পেতাম তাহলে হয়ত পেতাম আজ আফসোস করতাম না।

আসলে আমি নিজেই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম।অনেক আগে আমি Symphony Zv pro ফোনটা সেকেন্ড হ্যান্ড কিনেছিলাম।কিন্তু কেনার সময় সবকিছু ঠিকঠাক ছিল,বাসায় এসে দেখি স্পিকার গ্রিল এর উপরের অংশ ফাটা(হয়ত তখন অসতর্কতার জন্য চোখে পড়ে নি)।

যাইহোক আজকের পোস্টে আলোচনা করব, পুরাতন বা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার সময় কি কি বিষয় মনে রাখা উচিত।

তো চলুন মনে করিয়ে দিই।

★যদি আপনি অপরিচিত কারো কাছ থেকে ফোন কিনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কোম্পানির ওয়ারেন্টি কার্ড+ফুল বক্স সহ কিনবেন।কার্ড না থাকলে সেটা তো চোরায় ফোন ও হতে পারে তাই না?

তবে পরিচিত বা কাছের মানুষের ক্ষেত্রে হলে সেটা আলাদা ব্যাপার।

★ফোনের Imei ও বক্সের Imei ভাল করে মিলিয়ে নিন(Imei ফোনে বের করার চন্য Dial Pad এ গিয়ে *#06# চাপুন তাহলেই শো করবে)।যদি বক্সের Imei আর ফোনের Imei না মেলে তাহলে ব্যাপারটা কেমন হলো বলেন?

★ফোনের দাম ঠিক করবেন ফোনের বয়স কত দিন বা মাস বা বছর+বর্তমানে কেমন অবস্থা তার উপর ভিত্তি করে।

 

★দেখুন আপনি তো আর ফোন খুলে ভেতরের অংশের অবস্থা দেখতে পাচ্ছেন না তাই বাহ্যিক দিকটাই ভাল করে খেয়াল করুন।ফোনের বডি টা ভাল করে খেয়াল করে দেখেন কোনো প্রকার স্ক্যাচ বা ভাঙা আছে কিনা।দেখার সময় তাড়াহুড়ো করার দরকার নাই।তাড়াহুড়ো করলেই আমার মত ম্রা খাবেন।

★যদি ব্যাটারি রিমুভেবল হয় তাহলে পেছনের পার্ট টি খুলে দেখুন ফোন খোলা হয়েছে কিনা।ফোনের স্ক্রু দেখলেই বুঝতে পারবেন।যদি খোলা হয় তাহলে সেটা অবশ্য ওয়ারেন্টি কার্ডের উপরে লেখা থাকবে(ওয়ারেন্টি থাকা কালে)।যদি লেখা না থাকে তাহলে মনে করবেন সেটা কোম্পানির সার্ভিস সেন্টার বাদে অন্য কোথাও থেকে খোলা হয়েছিল।আর যদি অন্য কোথায় থেকে খোলা হয় তাহলে তো আর ওয়ারেন্টি কাজ করবে না যদি ঐ ফোনে ওয়ারেন্টি থেকে থাকে।

★কেনার সময় অবশ্যই আপনি ১৫-২০ মিনিট ব্যাবহার করে দেখে নিবেন,তাহলে কোনো সমস্যা থাকলে হয়তবা তা আপনার চোখে পড়বে।যেমন মনে করুন, ব্যাটারি ব্যাকআপ,টাচ রেসপন্স কেমন,ফোন অতিরিক্ত হিট হয় কিনা,চলতে চলতে বন্ধ হয়ে যায় কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।

★ফোনের স্পিকার,মাইক্রোফোন,চার্জার,ইয়ারফোন ভাইব্রেশন,বাটনগুলা ইত্যাদি ঠিকঠাক কাজ করে কিনা দেখে নিবেন।

★সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে যদি আপনি কেনেন তাহলে ফোনে থাকা সকল প্রকার Account, যেমন Facebook,Google, Mi Account(যদি শাওমি হয়) ইত্যাদি রিমুভ করে নিন তারপর একবার রিসেট দিন।

আশা করি উপরের ধাপগুলো ব্যাবহার করে যদি আপনি ফোন কেনেন তাহলে সহজে ধরা খাবেন না আশা করি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Previous Post

রিফারবিশড ফোন কি,কিভাবে রিফারবিশড ফোন চিনব?

Next Post

শাওমি এন্টি দূষণ PM2.5 রিচার্জ এয়ার ফিল্টার চালু সঙ্গে এয়ার মাস্ক ফুল রিভিউ

Related Posts

মোবাইল ডিসপ্লে কোনটা ভালো? AMOLED vs IPS LCD vs OLED vs Retina

আমরা যখন মোবাইল কিনি তখন বেশিরভাগ মানুষ যে জিনিষ দেখে কিনে তা হচ্ছে স্মার্টফোনের র‍্যাম, ইন্টার্নাল স্টোরেজ কিংবা…
পড়ুন