ওয়েব হোস্টিং নির্বাচনের পূর্বে – প্রথম পর্ব

ইন্টারনেট(Internet) যেভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে উন্নত, ঠিক একইভাবে মানুষের কাছে পৌছানোটাকেও করেছে সহজলভ্য। আর এই সহজলভ্যতার রয়েছে যেমন ভাল দিক, ঠিক তেমনি খারাপ দিক। ই-কমার্স(e-commerce) সেক্টর তেমনই আশির্বাদ।

ঘরে বসে কেনাকাটা আর নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে বিলাশিতার কুঠোর বলা যায় ই-কমার্স ব্যবস্থাকে।  ই-কমার্স ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ওয়েবসাইট(website)-এর বিকল্প মাধ্যম একমাত্র হতে পারে মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে এমন কোনো যন্ত্র বসিয়ে দেওয়া, যা মুহুর্তে ভোক্তা এবং সেবাদাতার মধ্যে যোগাযোগ ঘটিয়ে দিতে সক্ষম। যেহেতু, বর্তমানে সেটাও সম্ভব নয়, তাই বলা চলে ওয়েবসাইট-ই এখন একমাত্র প্লাটফর্ম (platform)যেখানে সেবাদাতা আর সমস্ত পণ্য এবং সেবা গোছালোভাবে রিপ্রেজেন্ট(represent) করতে পারে।

যে প্লাটফর্মটি আপনাকে/আমাকে এত এত সুবিধা দিবে, সেই প্লাটফর্মটি নিয়ে হয়ত ভেবেছেন অনেক কিংবা ভাবছেন এখনও! কখনও বা দিধাদ্বন্দের মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন কিনবা কখনও না বুঝেই আগাচ্ছেন। যে যুগে প্রযুক্তির জ্ঞান থাকাটা অত্যাবশ্যক সে যুগে কেন না জেনে শুনে আগাবেন? যেটার সাথে আপনার জীবিকা জড়িতে সেটা নিয়ে তো ছেলে খেলা করাটা নিতান্তই বোকামি।

তাই, আজ থেকে আমরা কিছু বিষয় জানার চেষ্টা করব ধাপে ধাপে, যেগুলো আপনার অনলাইন ব্যবসার অগ্রজাত্রায় অপরিসীম ভূমিকা পালন করতে পারে।

অনলাইন ব্যবসার/ই-কমার্স ব্যবসার মূল প্লাটফর্ম হল ইন্টারনেট যেখানে ওয়েবসাইট পন্য/সেবার শোকেস(showcase) হিসেবে কাজ করে। তাই একটি ওয়েবসাইট বানানোর পূর্বে অবশ্যই ওয়েবসাইটের কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হয়। এর মধ্যে, প্রথম যে বিষয়টি সেটি হল ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং নির্বাচন। তো “হোস্টিং কেমন হবে? কেমন রিসোর্স লাগবে?” এই বিষয়গুলোর উত্তর জানার আগে আমাদের বাস্তাবিকভাবে কার থেকে বা কাদের থেকে ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস নিচ্ছি বা নিব সেটা গুরুত্বপূর্ণ ।

তো দেশি/বিদেশি অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার/কোম্পানি আছে যারা ভাল মানের ডোমেইন-হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। ভাল খারাপ নিয়ে যেমন সব কিছু, ঠিক তেমনি হোস্টিং সার্ভিসের ক্ষেত্রেও ভাল মন্দ বিদ্যমান। তাই দাম যেমনই হোক গুণগত মান দেখে হোস্টিং প্রোভাইডার নির্বাচন করা উচিত।

যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি হোস্টিং প্রোভাইডার/ কম্পানি নির্বাচনের ক্ষেত্রেঃ

  • যদি হোস্টিং সিপ্যানেল(cPanel)- এর হয় তবে সিপ্যানেলের লাইসেন্স আছে কিনা।
  • যদি তারা বিলিং সফটওয়্যার WHMCS ব্যবহার করে তবে সেটার লাইসেন্স আছে কিনা।
  • Terms of Service ভালমত পড়ে নিন।
  • সার্ভিস টিম ওয়েব হোস্টিং সম্পৃক্ত বিষয়গুলো নিয়ে কেমন জ্ঞান রাখে।
  • হোস্টিং প্রোভাইডার/কোম্পানি এর পিছনে কোন ব্যক্তি কাজ করছে তাদের সম্পর্কে ধারনা রাখা।
  • ফেসবুকের চটকদার বিজ্ঞাপন পরিহার করা আবশ্যক।
  • কত দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছে এবং যদি তারা বেস পুরাতন হয় তবে তাদের পূর্বের সার্ভিসের মান কেমন।

আমাদের মধ্যে একটা বিষয় বেস পরিলক্ষিত হয়। আর সেটা হল এমন কিছু দামের পিছনে আমরা ছুটি যেটা কেবল ঘুমের মধ্যে স্বপ্নেই সম্ভব। তাই, যারা হোস্টিং সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের সার্ভিসের মূল্য হোক কম কিংবা বেশি! যাচাই করে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

ধন্যবাদ সময় নিয়ে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য। পরবর্তী পর্বে cPanel, WHMCS এর লাইসেন্স থাকাটা কেন জরুরি সে বিষয়ে জানবো ইনশাল্লাহ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Previous Post

Haylou Solar LS05 | দুই হাজার টাকা বাজেটে সেরা স্মার্টওয়াচ

Next Post
whatstool by deshidroid

WhatsTool – Toolkit for WhatsApp Users

Related Posts

আমরা কতটুকু নিরাপদ সোশ্যাল মিডিয়া-এর হাত থেকে!

প্রযুক্তির উৎকর্ষের সাথে সাথে দৈনন্দিন জীবনে আমরা যতটা না নিজেদের বন্ধুদের চিনি তার থেকে বেশি চিনি আমাদের ভার্চুয়াল/কাল্পনিক…
পড়ুন