আমার একটা প্রোজেক্ট ছিল, কৃষকদের নিয়ে। যেখানে কৃষকরা যাদের শস্যের রোগ সম্পর্কে ছবি বা লিখে দিলে আমাদের সফটওয়্যার নিজে থেকেই রোগ নির্নয় করে সমাধান বাতলে দিতো। তো আমরা যখন এই প্রোজেক্ট নিয়ে প্যানেলের সামনে যাই তখন একজন ফ্যাকাল্টি আমাদের না করে দেন এই বলে যে এই প্রোজেক্ট তো করা যাবেনা, কারন কৃষক স্মার্টফোন পাবে কোথায় ?
এতোদিন পরে এসে আমাদের ও মনে হচ্ছে আসলেই কৃষক স্মার্টফোন পাবে কোথায়। যেখানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা রূপকল্প ২০২১ এর কথা বলছি সেখানে হুট করে দেশে ইম্পোর্টেড স্মার্টফোনে ভ্যাট ( আমদানী শুল্ক ) ১০% থেকে ২৫% করার যৌক্তিকতা ঠিক কি, আমি খুজে পাইনা।
গণমানুষের কাছে পৌছানোর জন্য স্মার্টফোন হচ্ছে সবথেকে ছোট এন্টিটি। এছাড়া আর কোন ইন্ট্যারেক্টিভ ওয়েতে একদম তৃণমূল পর্যায়ের কাছে আপনি পৌছাতে পারবেন নাহ। তো সেই এন্টিটির দাম বাড়িয়ে কিভাবে সবাইকে নিয়ে রুপকল্প ২১ বাস্তবায়ন হবে ?
বলতে পারেন এখন তো আমাদের দেশেই স্মার্টফোন বানানো হয়। হ্যা! দেশে স্মার্টফোন বানানো হয় বটে কিন্তু তা ঠিক কতটা মান সম্মত ? আসলেই কি সময়ের সাথে পাল্লা দিতে প্রস্তুত সেই ফোন গুলো ? স্থানীয় স্মার্টফোন নির্মাতারা দারুণ উপকৃত হবেন এই বাজেটে। তবে জনগন কি আসলেই উপকৃত হবে ? নাকি আবার ব্যবহার শুরু করতে হবে নিম্নমানের ফোন ?
বলা হচ্ছে অপেক্ষাকৃত নিন্ম আয়ের মানুষ ব্যবহার করেন ফিচার ফোন তাহলে স্মার্টফোন কি শুধু অভিজাত শ্রেনীর বিলাসিতার পন্য ? আমরা কি শুধু বিলাসি মানুষদের জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ব?
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার আগে সবথেকে বেশি যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে সর্বনিন্ম মুল্যে স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া। এই বাজেটে আমি যার প্রতিফলন মোটেই দেখতে পাচ্ছিনা।