বর্তমানে মোবাইল বাজার গরম করা একটি ফোন হল Redmi Note 7! Redmi Note series-টি আগে শাওমি ব্রান্ডিং এর দখলে থাকলেও শাওমি Redmi Note 7 বাজারে ছাড়ার মাধ্যমে Redmi কে তাদের sub brand হিসেবে ঘোষণা করেছে। Sub brand হিসেবে Redmi কতটা সফল হওয়ার দাবিদার সেটা Redmi Note 7 ফোনটি বিশ্লেষণ করলে কিছুটা ধারনা করা যায়!
তাই আজকে আমরা Redmi Note 7 ফোনটিতে যা কিছু নতুনত্বের ছোঁয়া এসেছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করব।
Redmi Note 7 একটি মিড বাজেটের সফল ডিভাস হওয়ার মত যতগুলো গুণ থাকা দরকার তার কোনোটির কমতি রাখেনি Redmi এর ডিজাইনার ও ডেভেলপাররা।
এই প্রথম Glass body build এ Redmi Note device বাজারে ছেড়েছে তার মাতৃ প্রতিষ্ঠানটি। এতে করে ফোনটির সৌন্দর্য যেমন বর্ধিত হয়েছে ঠিক তেমনি এই ফোনটি গ্রিপেও বেস আরাম দায়ক ফিল দেয়।
এটিই রেডমি নোটের নচ ওয়ালা ফোন। ওয়াটার ড্রপের মত ছোট নচ হওয়ায় ফোনটি দেখতে তেমন খারাপ লাগেনা।
আর এই বাজেটে যেটা কল্পনা করাটা ছিল ভবিষ্যতের ভাবনা সেটাকে বর্তমানে সফল করতে এই ডিভাইসটি বেস পারদর্শী। হ্যা, বলছিলাম Type C USB পোর্ট এর কথা। যা এই বাজেটের ফোনে দেখা যায় না বর্তমানে। এখন শুধু অপেক্ষা কবে থেকে Type C USB port কম দামের ফোনগুলোতেও দেওয়া শুরু করবে!
এই প্রথম Redmi Note এর নোটিফিকেশন লাইটটি ফোনের ফ্রন্ট সাইডের নিচে দেওয়া হয়েছে। যা অত্যন্ত বিরক্তিকর একটা পজিশন। তবে মাল্টি কালার এর কোন শুবিধা নেই। অর্থাৎ সবই এখন “সাদা সাদা”। মেসেজ থেকে শুরু করে এপ নোটিফিকেশন, চার্জ সব ক্ষেত্রেই হোয়াইট লাইট মুডে বিপ দিবে এই এলইডি লাইটটি।
সিমের স্লটে প্রটেকশন হিসেবে ওয়াটার গার্ডের দেখা মিলেছে। রেডমি বলছে ফোনটি water splash proof। অর্থাৎ পানিতে ভিজলে ফোনটি ড্যামেজ হওয়ার চান্স কম। তবে পানিতে ডুবিয়ে রাখলে ফোনটি ড্যামেজ হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
রেডিমি নোট ফোনটি এল্যুমিনিয়াম বডি বিল্ড ছেড়ে গ্লাস বিন্ড হওয়ার সাথে সাথে এর ফিংগার প্রিন্ট সেন্সরটিও গ্লাস বিল্ড করে ফেলেছে। যা পিচ্ছিল এবং সহজে ড্যামেজ হওয়ার আশংকায় থাকে।
এতে রয়েছে ডুয়াল স্টান্ড বাই 4G এনাবল শুবিধা। যার মাধ্যমে এর ব্যবহারকারী এই ফোনটিতে থাকা দু’টি সিমেই একই সাথে 4G নেটওয়ার্ক শুবিধা ভোগ করতে পারবে।
দেওয়া হয়েছে ফোনে কথা বলার সময় ইয়ার পিসে বুস্ট সুবিধা। যার বদৌলতে এই ফোনটির ব্যবহারকারী চাইলে ফোনে কথা বলার সময় সাওন্ড আরও বাড়িয়ে নিতে পারবে। অতিরিক্ত কোলাহল পরিবেশে এটি বেস কার্যকর যা রেডমি/শাওমি এর অনেক ফোনেই নেই বললে চলে।
এই ফোনটির ব্যাক ক্যামেরা হিসেবে ৪৮ মেগাপিক্সেলের স্যামসাং ক্যামেরা মডিউল ব্যবহার করা হয়েছে। যদিও প্রসেসরটি ২৫ মেগাপিক্সেলের বেশি সাপোর্ট করেনা। তবে এই কাজে বেস পারদর্শীতা দেখিয়েছে রেডমি ডেভেলপাররা। ৪৮ মেগাপিক্সেল এর এই ক্যামেরা মডিউলটি ডিফল্ট মুডে ১২ মেগাপিক্সেল হিসেবে সেট করা থাকে। এই ফোনের ক্যামেরা প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তারিত পোস্টটি পেতে আমাদে সাথে থাকুন।
রেডমি নোট ফোনে এই প্রথম 120 fps এ স্লো মোশন ভিডিও করা যাবে। 720p ও 1080p এই উভয় মুডেই স্লো মোশন ভিডিও রেকোর্ডিং করা যাবে।
এতে রয়েছে H 2.64 ও H 2.65 ভিডিও এনকোডিং এর সুবিধা। যা ভিডিও মুড এনাবল করে ক্যামেরা সেটিংস এ ঢুকলেই দেখা মিলবে।
Pro mode এ রয়েছে manually ছবি তোলার সকল সুবিধা। Camera 2 api এনাবল থাকায় যে কেও চাইলে GCam ও ব্যবহার করতে পারবেন এই ফোনে রুট না করেই।
এই প্রথম রেডমি নোট এর কোনো ফোন QC 4.0 সাপোর্ট করছে। যার মাধ্যমে এই ফোনের 4000mAh ব্যাটারিটি খুব দ্রুতই চার্জ করে নেওয়া যাবে আগের ফোনগুলোর থেকে। এক্ষেত্রে চার্জারটি অবশ্যই QC 4.0 সাপোর্টেড হতে হবে।
দেওয়া হয়েছে Bluetooth 5.0 এর সুবিধা যার মাধ্যমে বাড়তি অনেক এডভান্টেজ তো থাকছেই।
ডিসপ্লে সাইজ বড়/ছোট করে নেওয়ার জন্য এর MIUI এর ভেতরে দেওয়া হয়েছে কাস্টমাইজেশন শুবিধা। এছাড়া কালার ও কন্ট্রাস্ট কাস্টমাইজ করার সুবিধাও রয়েছে।
Gaming Speed Booster এপটি প্রি ইনস্টল করা রয়েছে। যার মাধ্যমে গেমিং এ এডভান্স কিছু সুবিধা পাওয়া যাবে।
এই ছিল যা কিছু নতুন / প্রথম রেডমি নোট ফোনে। কিছু জিনিস বাদও পড়তে পারে। বাদ পড়লে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। Redmi Note 7 নিয়ে আরও পোস্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন এবং আমাদের এই পোস্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করুন।
আরও পড়ুনঃ Redmi Note 7 : বেঞ্চমার্ক স্কোর বনাম রিয়েল লাইফ এক্সপেরিয়েন্স!