ফোন কেনার আগে কি কি দেখা উচিত

একটা সময় ছিল, যখন স্মার্ট ফোন ছিল শখের ব্যাপার। কিন্তু বর্তমানে এটা শুধু শখই না বরং প্রয়োজনীয়। স্মার্ট ফোন কিনতে গেলে বেশ দ্বিধার ভিতরেই পড়তে হয়, বাজারে এত এত ব্র্যান্ডের ফোন। কোনটা রেখে কোনটা কিনবো। আবার সবার বাজেটও এক না।

সাধ্যের ভিতর সবচেয়ে ভালো ফোনটা বাছাই করবো কিভাবে? ফোন কিনতে গেলে কোন জিনিসগুলো দেখা উচিত?

১। ক্যামেরা: স্মার্ট ফোনে সবচেয়ে বেশি বোধহয় ক্যামেরাই ব্যবহৃত হয়। আর সেলফি যুগে ফ্রন্ট ক্যামেরার গুরুত্ব তো বলার অপেক্ষা রাখে না। বাজারে রেয়ার ক্যামেরায় ৮-১৬ মেগাপিক্সেল আর ফ্রন্ট ক্যামেরা ৫-৮ মেগাপিক্সেল যুক্ত ফোন পাওয়া যায় ১০-২০ হাজার টাকার মধ্যেই।

মোবাইল কেনার সময় বা আগে অনলাইনে মনোযোগ দিয়ে পড়ে নিন অথবা Youtube review এ দেখে নিন Camera Factors অর্থাৎ ক্যামেরার স্পেশালিটি।

২। রম(Rom): গুরুত্বপূর্ণ একটা অ্যাপ ইন্সটল করবেন এমন সময় পপ-আপ মেসেজ আসলো “You have insufficient space to install this App” অথচ আপনার External SD Card বা মেমোরী কার্ডের অনেকটাই বা পুরোটাই ফাঁকা। অ্যান্ড্রয়েড ইউজারের জন্য এই মেসেজটা বিরক্তিকর ও হতাশাজনক। কিন্তু এই মেসেজ আসার কারণ আপনার রমে স্পেস নাই, যেটার সহজ নাম ডিভাইস মেমোরী। তাই ফোন কেনার আগেই এই রোগের প্রতিষেধক বুঝে নিন। ফোনে বিল্ট-ইন যত অ্যাপ দেওয়া থাকে তা সহ বহু অ্যাপ আছে যাতে শর্ত থাকে শুধু রমে অর্থাৎ ডিভাইস মেমরীতে ইন্সটল করা যাবে। তাছাড়াও External SD Card এ অ্যাপ ইন্সটল করার পরেও অ্যাপের কিছু অংশ রমে ইন্সটল হয়ে যায়। কেনার আগে তাই রমের ব্যাপারটা ভালো করে চেক করে নেওয়া দরকার। রমের স্পেস কম হলে ফোনের স্পিড কমে যাবে তাছাড়া মনের মত অ্যাপ ও গেম ইন্সটল করতে পারবেন না। তবে রমের স্পেস বাড়ানোর জন্য ফোনের দাম বেড়ে যাবে। তাই আপনার সাধ্যের মধ্যে চেষ্টা করুন মিনিমাম ৮ গিগাবাইট থেকে সর্বোচ্চ যত স্পেস সম্পন্ন ফোন কিনতে পারেন।

৩। গ্রাফিক্স বা স্ক্রিন রেজ্যুলুশন: অনেকেই মোবাইলে সিনেমা বা মিউজিক ভিডিও দেখার পরিকল্পনা করে ফোন কিনতে চান। ফোন কেনার আগে দেখে নিন আপনার কাঙ্ক্ষিত ফোনের ppi(Pixel Per Inches) কত। ফোনে হয়ত লেখা থাকবে 1080p বা 720p কিন্তু আপনি এই রেজ্যুলুশন কত ভালো ভাবে পাবেন তা নির্ভর করবে স্ক্রিণের PPI রেটের উপর। ppi রেট যত বাড়বে ততই বাড়তে থাকবে ভিডিও ও পিকচার কোয়ালিটি একই সাথে দাম

৪। র‍্যাম: র‍্যামের ব্যাপারে বেশি কিছু বলার নাই। র‍্যামের উপর নির্ভর করে আপনার ফোনের স্পিড ও মাল্টি টাস্কিং ক্যাপাবিলিটি। মোটামুটি স্পিডের জন্য ১ জিবি র‍্যামই ভালো। সামর্থ্যের উপরে নির্ভর করে বাজারে এখন ১-৪ জিবি র‍্যাম সম্পন্ন মোবাইল সেট পাওয়া যায়। ৫। ফোনের সাইজ: আধুনিক ফোনের ব্যাপারটা যেহেতু মোবিলিটির তাই “Size Does Matter”। মোটামুটি উপভোগ্য ও বহনযোগ্য ফোনের সাইজ ৪.৫ ইঞ্চি থেকে ৫.৫ ইঞ্চি।

৬। বাজার জরিপ: মোবাইল কেনার আগে এতসব ফোনের ভিতর কোন ফোনটি কিনবেন সেই জরিপটা সেরে নিন ইন্টারনেট ও বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে। খোঁজ নিন সবচেয়ে ট্রেন্ডিং ফোনগুলো সম্পর্কে। এছাড়া ফোন সম্পর্কিত আরো জানতে আমাদের ফেসবুক গ্রুপ দেশী ড্রয়েড এ জয়েন হতে পারেন..

https://www.facebook.com/groups/deshidroid/

ইন্টারনেটে অনেকগুলো সাইট পাওয়া যায় যেখানে মোবাইলের দামও পাবেন আবার দেখে নিতে পারবেন ফোনের Specification। আরো কিছু সাইট আছে যেখানে একটা ফোনের সাথে আরেকটা ফোনের তুলনা করে দেখা যায়। এছাড়া কোন ফোন পছন্দ হলে ইউটিউবে দেখে নিন সেই মডেলটির আনবক্সিং ও ইউজার এক্সপেরিয়েন্সের ভিডিও। ফোনের Specification, দাম, ছবি ইত্যাদি দেখার জন্য যেসব সাইট ভিজিট করতে পারেন GSM arena,Mobiledokan.com, Mobilemaya ইত্যাদি। এছাড়া ইউটিউব চ্যানেলের ভিতর Android Authority, C4etech, gadgets portal, Geekyranjit ইত্যাদি দেখতে পারেন l

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Previous Post

OTG এর বিস্তারিত

Next Post

কম্পিউটারের প্রসেসর কিনার আগে যা জানা প্রয়োজন?

Related Posts

মিডিয়াটেক ও স্ন্যাপড্রাগন চিপসেটের ভিতরে পার্থক্য

আমাদের অনেকের মিডিয়াটেক ও স্ন্যাপড্রাগন সম্পর্কে ধারণা থাকে না।তাই আজকে আপনাদের ছোট করে একটা ধারণা দিতে চাই। মিডিয়াটেক…
পড়ুন