কম্পিউটার নিয়ে এটি আমাদের প্রথম পোস্ট।তাই একেবারে গোড়া থেকে শুরু করতে চাই একটু অন্যভাবে। চলুন শুরু করা যাক।
কম্পিউটার জিনিসটা আসলে কি? আমার দেখা অনুযায়ী অনেকের কাছে এই বস্তুটা অনেকটা রহস্যের বাক্সের মত! আমাদের ২/১ জেনারেশনের আগের মানুষদের কম্পিউটারের সামনে দাঁড় করিয়ে দিলে অনেকটা ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকবে। আর যদি বলা হয় আমাদের জেনারেশনের কথা! অনেকে ভয়ে হয়ত হাত ই দিবে না! আরে উলটাপালটা টিপলে যদি কিছু হয়ে যায়!
প্রকৃতপক্ষে কম্পিউটার জিনিসটা এত জটিল কিছু নয়। মনে করুন একটি বড় পাত্র আপনার সামনে রেখে দেওয়ার মত একট ব্যাপার। ওই পাত্রটিতে আপনি ইচ্ছা মত আপনার খাবারের মেনু পরিবেশন করে নিজে খেতে পারবেন।কিংবা চাইলে অন্যকে খাওয়াতে পারবেন। একটি কম্পিউটার একটি খাবার বিহীন পাত্র ছাড়া আর কিছুই নয়। (কথাটা অনেকটা পাগলের প্রলাপের মতই লাগছে! চলুন ক্লিয়ার করে নেওয়া যাক ব্যাপারটা।)
কম্পিউটারের অতি পরিচিত একটি সংজ্ঞা হল “এটি একটি গণনাকারী যন্ত্র”। কিন্তু আমরা কয়জন এটি গণনার কাজে ব্যবহার করি?
আপনার উত্তর হয়ত হবে “করিনা আসলেই। ক্যাললকুলেটর আছে না!”
বিষয়টা খুব সহজ এবং স্বাভাবিক। কম্পিউটার প্রতিনিয়ত আপনার প্রতিটা কমান্ডের ক্যালকুলেশন করেই যাচ্ছে। যার ফলাফল দৃশ্যমান নয়। দৃশ্যমান হলে কম্পিউটার হ্যাং মারার আগেই আপনার মাথা হ্যাং হয়ে যেত। আচ্ছা বাদ দেওয়া যাকে এইসব গভীর চিন্তাভাবনা। চলুন সেই পাত্র তত্ত্বে ফেরা যাক।
বলছিলাম কম্পিউটার একটি খাবার বিহীন পাত্র। পকৃতপক্ষে এই পাত্রটি খাব্রের কাজে নয় বরং কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আর কিছু ক্ষেত্রে বিনোদনের কাজে এই এই পাত্রটি ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রথমিক পর্যায়ে এই পাত্রটি ব্যবহার উপযোগী থাকে না। অর্থাৎ এই খালি পাত্রটি ব্যবহার উপযোগী করতে হলে আমাদের প্রথমে যেটা করতে হয় সেটা হল ডেকোরেশন! আর এই ডেকোরেশনে সহায়তা করে বাইওস (BIOS)। মূলত বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম (বা OS : Microsoft Windows, Ubuntu, Linux, MacOS এবং এমন আরও অনেক OS আছে) BIOS এর সহায়তায় এই পাত্রে রাখা হয় বা ইন্সটল করে এই পাত্রটিকে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। এরপর ব্যবহারকারীর ইচ্ছা মত খাবার তথা সফটওয়্যার রাখা তথা ইন্সটল করা হয়। ব্যবহারকারী যত ক্রিয়েটিভ হবে তার এই পাত্র / ম্যাজিক বাক্সটিও তত বেশি ক্রিয়েটিভ হবে।
অনেকটা এমন, “ভেজিটেরিয়ানের সামনে আমিষ রাখলে সেই আমিষ যে নিতান্তই ফেলে দেওয়া দ্রব্যে পরিণত হবে ঠিক তেমন।” হাজার রকম সফটওয়্যার ইন্সটলের পরেও যদি ব্যবহারকারী তার প্রয়োগ না জানে তাহলে সেই কম্পিউটার একটা মুঠো ফোনের সমান মর্যাদাও অর্জন করতে পারবেনা। অর্থাৎ আমি যেটা বোঝাতে চাচ্ছি সেটা হল। কম্পিউটার একটি খুবই সহজ সরল ডিভাইস। আপনি এটাকে যতটা জটিল ভাবে ভাববেন এটা তার থেকেও জটিল হয়ে যাবে। আর ব্যবহারকারী যেমন ভাবে এটাকে নিবে কম্পিউটার ঠিক তেমনই হবে।